- প্রথমেই হাতের রুক্ষ মৃত চামড়া তুলে ফেলতে হবে। এই মৃত চামড়া তোলার জন্য ঘরে বসে স্ক্রাব তৈরীর জন্য অলিভ অয়েল, চিনি ও গুড়ো দুধ একসাথে মিশিয়ে নিন। ২চা চামচ গুড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ চিনি একসাথে খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। যদি চান এতে কয়েক ফোটা লেবুর রসও দিতে পারেন। কারণ, লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- এই স্ক্রাবিং প্রক্রিয়া শেষ হলে সম পরিমান অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে হাতে লাগান। এটা হাতে আদ্রতা ও কোমলতা আনে। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
- হাত ময়েশ্চারাইজিং এর পর ১০ দিনে একবার হাতে গরম ভাপ দেবার চেষ্টা করুন। ভালোভাবে হাত শুকিয়ে/মুছে নিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ভালো কোনো হাতের ক্রিম মাখুন যা আপনার ত্বক এর জন্য মানানসই।
- হাতে ঘৃতকুমারীর (aloe-vera)'র রস মালিশ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান।
- কাপড় ধোয়ার সময় সবসময় হাতে রবারের গ্লাভস পড়ুন। আর যদি তা না থাকে তবে লিকুইড হ্যান্ড সোপ বা হাতের জন্য ভালো এমন কিছু ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন এমন কোনো সাবান ব্যবহার করবেন না যা আপনার হাতের জন্য ক্ষতিকারক।
- গরম বা শীত যেকোনো দিনে ঘরের বাইরে যাবার আগে ভালো কোনো সানস্ক্রিন মাখুন। এতে আপনার হাতের রং সুরক্ষিত থাকবে।
- আপনার রান্নাঘরে কোনো জৈব সাবান বা ভেষজ তরল সাবান রাখুন এবং রান্নাঘরে কাজের সময় তা ব্যবহার করুন।
- বেশি বেশি পানি পান করুন, এতে হাতের আদ্রতা বজায় থাকবে।
- আপনার খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিড যেমন - ওমেগা ৩, যোগ করুন। মাছ বা বাদাম থেকে এটা পেতে পারেন।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।