তরমুজ:
তরমুজের বেশির ভাগ অংশই পানি । তাই এই গরমের দিনে তরমুজের চেয়ে উপকারি ফল আর হতে পারে না। পানি ছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম , সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। তাই তরমুজ হাইড্রেটিং এজেন্ট হিসেবে দারুন কাজ করে। তরমুজ রস করে বা ফ্রুট স্যালাড করে খেতে পারেন।
লেবুর শরবত:
লেবুর রসে আছে ভিটামিন সি। এছাড়া লেবুর রস শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। আর পানিতে লেবুর রস যোগ করা খুবই সহজ। এছাড়া এতে মেশাতে পারেন আপনার পছন্দমতো চিনি।
ডাবের পানি:
রাস্তাঘাটে ডাবের পানি পাওয়াটা খুব কঠিন কাজ নয়। অনেকক্ষণ রোদে ঘুরলে শরীর থেকে অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল বেড়িয়ে যায়। ডাবের পানি খেলে নিমিষেই তা ফিরে পাবেন। তাছাড়া গরম কালে পেট পরিষ্কার রাখার জন্যও ডাবের পানি অনবদ্য।
স্ট্রবেরি:
স্ট্রবেরি নামে লাল ফলটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি লেবু ও পুদিনা পাতার সঙ্গে মিশিয়েও সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা যায়।
শসা:
অন্য সবজির তুলনায় শসায় পানির পরিমান বেশি। শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, তাছাড়াও রয়েছে ক্যাফেয়িক এসিড। রোদে পোড়া শরীরের জন্য ক্যাফেয়িক এসিড খুবই উপকারি। খাওয়ার সময় সালাদে শসা খেতে পারেন।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতা শরীর ঠাণ্ডা করে ও হজমের গণ্ডগোল দূর করে। পুদিনা পাতা ও পানির মিশ্রন একত্রে বরফ তৈরি করুন। এরপর আপনার পানির জগে সেটা ছেড়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
গ্রিন স্যালাড:
শাকসজবি খাওয়া যেকোন সময়ের জন্য খুবই উপকারি । তবে গরমে লেটুস, গাজর,ক্যাপসিকাম, বেলপেপারের মত সবজি খাওয়াটা জরুরী। এতে শরীরে পুষ্টি যাবে আর পেট ও ঠাণ্ডা থাকবে।
আপেল:
আপেলের ছোট টুকরো দারচিনি সহযোগে পানিতে ছেড়ে দিন। এটি পানিকে সুস্বাদু করার পাশাপাশি বিপাকেও সহায়তা করবে। আপেলের নানা গুণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া এ পানীয়তে কমলার রসও যোগ করতে পারেন যা একে করে তুলবে মজাদার ও সুস্বাদু।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।