অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না পরাজয়। যোগ্যরাই এগিয়ে যাবে দূর্বলদের পিছনে ফেলে এটাই প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়ম। এই নিয়মটা যারা মানতে পারেনা তাদের ওপর পড়ে অবসাদের মায়াজাল। যা আপনাকে যৌবনে বার্ধক্যের স্বাদ পাইয়ে দিতে সক্ষম।
কথায় আছে 'গতস্য শোচনা নাস্তি' অর্থাৎ যে চলে গেছে তাকে মনে করে অপেক্ষা করা নিঃস্ফল। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীতে প্রায় ১২% মেয়ে এবং ৭% ছেলে অবসাদের স্বীকার হচ্ছেন এবং বর্তমানে সংখ্যাটা আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ডাক্তারেরা আত্নহত্যার এই প্রধান কারণটিকে প্রথম দিকে রেখেছেন।
কি এই অবসাদঃ প্রাণ পণে প্রাণী আর মনে প্রাণে মানুষ। আমাদের শরীরের মত মনও অসুস্থ হয়। আপনি যদি সবসময় একা থাকতে পচ্ছন্দ করেন, কোন কিছুতে সহজে নিজেকে মানাতে না পারেন, নিজেকে পৃথিবীর আবর্জনা, গুরুত্বহীন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেন তাহলে বুঝবেন আপনি অবসাদগ্রস্ত। বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যঘেরা অবসাদ এর তিনটি তত্ত্ব আছে -
- বায়োজেনিক থিওরি
- কলিনারজিক থিওরি
- রিসেপ্টর থিওরি
- খাওয়ার অরুচি এবং ওজন কম অথবা অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং মুটিয়ে যাওয়া
- অনিদ্রা অথবা অতিরিক্ত ঘুম
- উগ্রতা এবং অতিরিক্ত ঘুম
- স্বাভাবিক কাজে অনহা, সেক্স বিমুখতা
- অত্যধিক দুর্বলতা বা ক্লান্তি
- সিদ্ধান্তহীনতা বা অমনোযোগী হওয়া
- হীনমন্যতা, আত্নপ্রবঞ্চনা, অপরাধবোধ
- আত্নহত্যার ভাবনা বা চিন্তা
অবসাদের কারণ:
- কাঙ্খিত কোন কিছু না পাওয়া
- অফিসের কাজে সাফল্যের হার কমে আসা
- অবসাদের কারণে দেরিতে পদোন্নতি হওয়া
- যৌন অতৃপ্ততা
- প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া
- নিজের প্রতি কারও অযৌক্তিক দোষারোপ
- রাজনৈতিক কৌশলে পরাজিত হওয়া
- কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমাস্যার সমাধান করতে না পারা ইত্যাদি
- অবসাদগ্রস্তদের সফলতা খুবই সামান্য
- ধীরে ধীরে জীবনকে দূর্বসহ করে তোলে যা পরে আত্মহত্যা পর্যন্ত তা গড়াতে পারে
- পরিবার ও সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলা কষ্টকর হবে
- রোগী নিজের বা কারও মৃত্যুর কথা বলে মজা পাবে
- হঠাৎ করে নিজের আচার আচরণের ও পছন্দের পরিবর্তন ঘটাবে
- পোশাক আশাকের পরিবর্তন ঘটাবে
- খিটখিটে মেজাজ ও উগ্রতার জন্য সহজে বিবাদে জড়ানোর প্রবনতা দেখা যাবে
- বন্ধু বান্ধবের সাথে বেশি করে সময় কাটান, প্রথম দিকে খারাপ লাগলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে
- বেশি বাশি ভিটামিন বি, কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ জাতীয় খাবার খান
- নিজের অভিযোগগুলো কাছের কাউকে শেয়ার করুন
- ব্যর্থ মানুষদের সফলতার ইতিহাস পড়ুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।