সকালে ঘুম ভেঙ্গেই দেখলেন, কাজের বুয়া আসেনি, তারপর রাস্তায় বিশাল জ্যাম, সেই জ্যাম ঠেলে অফিস পৌছতে দেরি, অগত্যা বসের ঝাড়ি। কিংবা দেখলেন প্রথম ক্লাসের অর্ধেকটাই শেষ। তারপর সারাদিনে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া, বাসায় ফিরলেন তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে। বাড়ি ফিরেও কি আর শান্তি আছে? কারো হয়তো হোমওয়ার্ক আছে, কারো বা অফিসের প্রজেক্ট। মন মেজাজ যতই খারাপ থাকুক, ঠিক সময়েই জমা দিতে হবে এগুলো।
এভাবে ছুটতে ছুটতে আমরা একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। হতাশায় ভুগি। কোন কিছুই আর ভালো লাগেনা তখন। কিন্তু এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে উদ্যোগটা নিতে হবে নিজেকেই।
- নেতিবাচক ভাবনা দূর করুন। সবকিছুই আপনার পরিকল্পনা মত হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। দু'একটা কাজ নাহয় ভুলই হল। কি আসে যায় তাতে। আবার নতুন করে করার চেষ্টা করুন। আগের বারের ভুল থেকে শিখতে চেষ্টা করুন।
- মন ভালো করতে গানের কোন বিকল্প নেই। খুব মেজাজ খারাপ? কয়েকটা মিনিট কানে হেডফোন লাগিয়ে থাকুন নিজের মত, শুনুন পছন্দের গান। ভালো লাগবে। তবে গান পছন্দের ব্যাপারেও খেয়াল রাখা উচিৎ। হয়ত বন্ধুর সাথে একটু ঝগড়া হয়েছে, তখন হয়তো আপনার ইচ্ছে করছে দুঃখের কোন গান শুনতে। ভুলেও সেটা করতে যাবেন না, তাতে মন ভালো হবে না। আবার অনেকক্ষণ কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে শুনতে পারেন রবীন্দ্র সঙ্গীত বা হালকা লয়ের কোন গান। মাথা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
- মন ভালো করতে খেতে পারেন নিজের পছন্দের কোন খাবার। ইদানীং প্রায় সবাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে না খেয়ে থাকেন। এটাও কিন্তু অনেক সময় ডিপ্রেশনের কারন হয়ে দাঁড়ায়। মাঝে মাঝে ক্যালরির হিসেব ছেড়ে দিয়ে পছন্দের খাবার খান মন ভরে। মন ভালো থাকলে আপনিও ভালো থাকবেন।
- হঠাৎ করেই মেজাজ খারাপ। কোন কাজেই আর মন বসছে না। একটু সরে গিয়ে ডিপ ব্রিদিং করুন। কয়েকবার করুন। দেখবেন মনটা শান্ত হয়ে গেছে।
- যেতে পারেন বিউটি পার্লারে। নিজের যত্ন নিলে এমনিই মন ভালো হয়ে যাবে। অথবা বাড়িতেই করুন না নিজের যত্ন। আয়নায় যখন নিজের সতেজ মুখটা দেখবেন তখন ভালো লাগবে নিজেরই।
- প্রতিদিনের যে কাপড়গুলো পড়েন, তার বাইরে গিয়ে তুলে রাখা শাড়িটা পড়েই অফিস যান, অথবা ঈদ এ কেনা নতুন সালওয়ার-কামিজটা পড়ে ক্লাস করুন। একঘেয়েমি কেটে যাবে। করতে পারেন হালকা সাজগোজও।
- খুব মন খারাপ। ঘরে বসে আরও বিরক্ত লাগছে। কে আপনার মন ভালো করতে আসবে সেটা না ভেবে অল্প একটু সেজেগুজে নিজেই চলে যান কফি খেতে। খুব একটা খারাপ কিন্তু লাগবে না।
- নিজেই নিজেকে উপহার দিন। কি? অদ্ভুত শোনাচ্ছে? করেই দেখুন না। মাসের শেষে নিজের জন্য কিনে আনুন প্রিয় কোন বই, লিপস্টিক বা শাড়ি। তারপর সুন্দর করে র্যাপ করে নিজেকেই উপহার দিন। ভালো লাগবে।
- কথা বলতে পারেন বন্ধুর সাথে। সব ভুলে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিন। মন ভালো হবেই।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।