কি গড়নে, কি বৈশিষ্ট্যে, কি আবেদনে - প্রতিটি ঠোঁটই একে অপরের থেকে স্বতন্ত্র। হাসি কান্না, বেদনা, অভিমান, আবদার, লাস্য ফুটিয়ে তোলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ঠোঁট। তাই ঠোঁটকে আবেদনময়ী করে তুলতে চাই নিয়মিত পরিচর্যা।
শরীরের সবচেয়ে পাতলা, মসৃণ আর নমনীয় ত্বক এই দুটি ঠোঁট। তাই ঠোঁটের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত।
সাধারণত গড়নের দিক থেকে ঠোঁট তিন ধরনের:
- পুরু,
- মাঝারি ও
- পাতলা।
আবার রঙের দিক থেকে বিচার করলে ঠোঁট চার রকমের:
- লালচে,
- গোলাপি,
- কালচে,
- ফ্যাকাশে।
ঠোঁটের যত্নে যা যা করবেন:
- ঠোঁটের ত্বক খুব পাতলা এবং কোমল তাই সাবানের পরিবর্তে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে তা পরিষ্কার করা উচিত।
- যাঁদের ঠোঁট প্রায়ই শুকিয়ে যায় তাঁরা সবসময় সঙ্গে ভ্যাসলিন বা চ্যাপস্টিক রাখবেন। আর প্রচুর পানি খাবেন, কারণ পানির কোন বিকল্প নেই।
- গ্লিসারিন ও পাতিলেবুর রস সমপরিমাণে মির্শিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট চকচকে ও উজ্জ্বল দেখাবে।
- ঠোঁটের কোনা কালো হয়ে গেলে শসার রস অথবা শসা এবং লেবুর রস মিশিয়ে দিনে তিন-চারবার লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
- রাতে শুতে যাবার আগে লিপস্টিক অবশ্যই ক্রীম বা ভেজা তুলোর সাহায্যে তুলে ফেলবেন।
- রোদ ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। তাই দিনের বেলা রোদে বেরুনোর আগে ক্রিমি ম্যাট ফিনিশ কিংবা ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ফ্রস্টেড এবং গ্লসি লিপস্টিক দিনের বেলা না পরাই ভালো।
- ঠোঁটের কোমল ভাব বজায় রাখতে প্রতিদিন সমপরিমাণ গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন মিনিট পাঁচেক। এরপর ভেজা তুলো দিয়ে দু’ঠোঁট আলতো করে মুছে নিয়ে হাল্কা করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন।
- গাজরের রস খেলে ঠোঁট ভালো থাকে।
- প্রতিদিন খালি পেটে বিটের রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশেয়ে খেলে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
- মুলতানী মাটিতে কয়েক ফোঁটা মধু ও সামন্য কাঁচা দুধ মিশিয়ে লাগালে ঠোঁট নরম হয় এবং ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হয়।
- যে কোন দোকান থেকে লিপস্টিক কিনবেন না।
- দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
- ঠোঁটের দুই কোনার ত্বকে সাদাটে ভাব দেখা দিলে ভিটামিন-সি খেতে পারেন। অবশ্য তা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। এছাড়া এক চামচ দুধের সরে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস ও মধু মিশিয়ে দিনে তিন-চারবার ঠোঁটের কোণে লাগালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি ঠোঁটের যে কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
- ঠোঁটের বিভিন্ন সমস্যায় ঘরোয়া পদ্ধতি ছাড়াও কিনিক্যাল ট্রিটমেন্টের সাহায্য নিতে পারেন। এর জন্য কোন অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।