বাজার ঘুরে দেখা গেল রয়েছে হরেক রকমের রঙ বেরঙের টুপি।
আস্তিনসহ
টুপিগুলো এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোটদের জন্য ভালুক, কার্টুনের টুপি,
বড়দের জন্য একরঙা বা বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণের টুপিও পাওয়া যাচ্ছে। এখন
বাজারে এমন টুপিও এসেছে যার প্রান্তভাগ গলায় জড়িয়ে রাখা যাবে।
ক্যাপের মতো টুপিগুলো গেঞ্জি কাপড় থেকে মোটা উলেরও হয়ে থাকে। ছেলেমেয়ে সবার মাঝেই এই টুপির জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সাধারণত মেয়েদের মধ্যে ঝোলা টুপি বেশ জনপ্রিয়। রাস্তার ধুলাবালি ও শীতের আবহাওয়া থেকে অনায়াসেই চুল রক্ষা করা যায় এই টুপির জন্য।কোথাও
তাড়াহুড়া করে যেতে হলে চুল বেঁধে এই টুপি পরলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে
পোশাকে। তবে রং ও টুপির কাপড় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও পুরানো ফ্যাশনের টুপির ভেতরে মোটা উলের টুপি, একসঙ্গে মুখ ও মাথা ঢাকার টুপিও আছে বাজারে।
কোন
টুপিতে মানাবে বেশি, মুখের গড়ন ও ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে কোন টুপি পরলে
দেখতে লাগবে ভালো এসব বিষয়ে জানিয়েছে একটি সাজসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইট।
শীতের টুপি পরার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নিয়মাবলী নেই। তবে কিছু জিনিস মেনে চললেই সবাইকে মানানসই লাগবে। শীত থেকে বাঁচতে সঠিক টুপি বাছাই করাও জরুরি। রঙ, মাপ ও টুপির ডিজাইনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
সবসময়
এমন টুপি বেছে নেওয়া উচিত যা একটু ঢিলে হবে। কারণ টুপিতে ব্যবহৃত ইলাস্টিক
কপালের কাছে আঁটসাঁট হয়ে থাকলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি কপালে
দাগ ও ফেলে দেয়।
রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা
সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, বদরুদ্দোজা মার্কেট, বঙ্গবাজার,
গুলিস্তানসহ অনেক জায়গাতেই পেয়ে যাবেন এমন সব রংবেরংয়ের বাহারি শীতের
টুপি।
প্রতিটি টুপির দাম ৫০ থেকে ৩শ’ টাকার ভেতর। কাপড়ের রকমভেদের উপর টুপির দাম নির্ভর করে। গেঞ্জি কাপড়ের টুপির দাম ৫০ থেকে ১শ’ টাকা।
বাজারে
চায়না ও বাংলাদেশের তৈরির টুপির বাজার বেশি লক্ষ করা গেছে। চায়না থেকে আসা
টুপির দাম তুলনামুলক বেশি। তবে বাচ্চাদের বাহারি টুপির দাম সবচেয়ে বেশি।
বিভিন্ন ডিজাইন ও রংয়ের তারতম্যের কারণেই দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে জানালেন একজন বিক্রেতা।